অভিজিত ঘোষ। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্ভুক্ত একটি ছোট গ্রামের ছেলে। বয়স ২৬ বছর। ভালোবেসে বিয়ে করে ওই জেলারই মন্তেশ্বরের মেয়ে রাজিয়া খাতুনকে। রাজিয়ার বয়স ২১ বছর। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে রেজিস্ট্রি হয় ২৯-০৯-২০২০ তারিখে।
২৮-১১-২০২০ তারিখে রাজিয়ার বাবা এবং মা অভিজিতের বাড়িতে আসে এবং তাকে আশ্বস্ত করে যে এই বিয়ে তারা মেনে নিয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা রাজিয়াকে ডাক্তার দেখানোর অছিলায় তারা সাথে নিয়ে যায় নিজেদের বাড়িতে। এর পর থেকে অভিজিতের সাথে রাজিয়ার যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজিয়ার সাথে দেখা করতে চাইলে রাজিয়ার বাড়ির লোকেরা অভিজিতকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় এবং বিভিন্ন ভাবে তার ক্ষতি করার হুমকি দিতে থাকে। মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে অসমর্থ হলে বাধ্য হয়ে পূর্ব বর্ধমান পুলিশ সুপারের কাছে ০৫-০২-২০২১ তারিখে লিখিত অভিযোগ জানায় অভিজিত।
এরপর থেকে আজ পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পায় নি অভিজিত। উল্টে তার কাছে একটি নোটিশ আসে যে রাজিয়া বিবাহ বিচ্ছেদ চায় এবং নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে যদি আদালতে উপস্থিত না হয়, তবে এক তরফা বিচারের মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে অভিজিতের পিতৃবিয়োগ হয়েছে এবং আদালতে হাজিরার দিনেই ঘাটের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।
এই পরিস্থিতিতে হিন্দু সংহতির সাহায্য প্রার্থনা করে অভিজিত জানিয়েছে যে সে প্রথমে আদালতে হাজিরা দেবে, তারপরে পিতৃশ্রাদ্ধের আবশ্যক কাজ করবে। কারণ সে রাজিয়াকে ফিরে পেতে চায়। হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে কালনা কোর্টে একজন উকিল নিযুক্ত করা হয়েছে অভিজিতের পক্ষে। আগামীকাল শুনানি হতে চলেছে।
আসুন আমরা সবাই মিলে অভিজিত আর রাজিয়ার পাশে দাঁড়াই যাতে এই চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে তারা দুজনে আবার পরস্পরকে ফিরে পায়।