আমাদের রাজ্যে জনসংখ্যার ভারসাম্য প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলাফল স্বরূপ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রও স্থানান্তরিত হচ্ছে প্রতিদিন। সবাই বলছে খেলা হবে। কিন্তু খেলার রাশ ধীরে ধীরে বাঙ্গালী হিন্দুর হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এটা অনস্বীকার্য।
হিন্দু সংহতি একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে এই ইস্যুতে আওয়াজ তুলছে, দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্গালী হিন্দুদের সতর্ক করে চলেছে। কিন্তু এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি রাজনৈতিক মঞ্চে এখনও গুরুত্বহীন। বিজেপিও এই সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত NRC এবং CAA ইস্যুতে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন যদিও এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান নয়, তবুও এই আইন আপাতত জনবিস্ফোরণের চেইন রিয়্যাকশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এই জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়েও কারও কোনও উচ্চবাচ্য দেখা যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে এই সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হিন্দু সংহতি রামায়ণে বর্ণিত কাঠবিড়ালির মত তার সীমিত সামর্থ্য নিয়ে চেষ্টা করে চলেছে এই সমস্যার সমাধানের অন্যতম একটি পথের দিশা দেখাতে। এই পথ ধর্মান্তরকরণ রোধের পথ, এই পথ ঘরে ফেরানোর পথ।
আজ ঘরে ফিরলো সামিমা (নাম পরিবর্তিত)। সে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মেয়ে। কলেজ ছাত্রী। বয়স ২০ বছর। সহপাঠী সমীরের হাত ধরে তার এই সনাতনী সমাজে প্রত্যাবর্তন। একদিকে ‘দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী’-র স্বভাবসিদ্ধ প্রতিক্রিয়া, অপরদিকে তথাকথিত উদার হিন্দু সমাজের রক্ষণশীল প্রত্যাখ্যান- এর জাঁতাকলে পিষ্ট সমীর সামিমার জুটিকে সাদর অভ্যর্থনা জানাবে কে? তাদের সামাজিক সম্মানের সাথে সাথে নিরাপত্তা দেবে কে? তাদের আইনী সহায়তা দেবে কে? তাদের পায়ের তলায় মাটি আর মাথার উপরে ছাদের ব্যবস্থা করবে কে?
আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করে চলেছি। আপনারাও করুন। এই কাজে আমাদের সাথে থাকুন।
Very good
LikeLike