ধর্মাবতার কহিলেন, “শোনো বাপু যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করিয়া তুমি তোমার হত দরিদ্র প্রতিবেশীদের মনে ঈর্ষার সঞ্চার করিয়াছো। তোমার এই বিধ ঘোরতর অপরাধই ইহাদের তোমার সম্পদ লুন্ঠনে প্রবৃত্ত করিয়াছে। সুতরাং তোমার গৃহে সম্পন্ন ডাকাতিতে আমি ইহাদের কোনরূপ অপরাধই দেখিতে পাই না। অপরাধ তোমারই। “
গৃহস্থ কহিল, “কিন্তু ধর্মাবতার, লুণ্ঠনের সাথে সাথে এই ডাকাতেরা আমার বৃদ্ধ পিতাকে নৃশংস ভাবে হত্যাও করিয়াছে। এই অপরাধের কি শাস্তি হইবেক না!”
ধর্মাবতার কহিলেন, “তুমি এই নিরীহ দরিদ্র মানুষদের ডাকাত সম্বোধন করিয়া মানবতার অপমান করা বন্ধ করো। আর তোমার পিতার মৃত্যুর জন্য ইহাদের কী রূপে দায়ী করো? তোমার বৃদ্ধ পিতা নিশ্চয়ই ইহাদের বাধা প্রদান করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন। সেই কারণেই বচসার সূত্রপাত। তোমার পিতার মৃত্যু একটি কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ। ইহার অর্থ তুমি বুঝিলে আমার এই চেয়ারে তুমিই আসীন হইতে।”
“কিন্তু ধর্মাবতার! আমার পত্নীকে ইহারা ধর্ষণ করিয়াছে। ইহার কি কোনও বিচার নাই?” গৃহস্থ কহিলেন।
ধর্মাবতার কহিলেন, “যৌবনের ধর্ম হে! ইহার বেগ সামাল দেওয়া সাধু সন্ন্যাসীদের অসাধ্য। ইহারা তো সাধারণ মানুষ। তোমার স্ত্রী নিশ্চয়ই সুন্দরী এবং যুবতীও! ইহাদের দোষ দাও কেন হে!”
গৃহস্থ বুঝিলেন আইন এবং আদালতের মহিমা ……..
আপনারাও কি বুঝিতে পারিয়াছেন?