বাঙ্গালী যখন মুসলমান হয় তখন সে তার বাঙ্গালী নাম পরিবর্তন করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পূর্বপুরুষের পদবী (সারনেম) পরিবর্তন করে, পোষাক বিধি (ড্রেসকোড) পরিবর্তন করে। তার পালনীয় উৎসব আলাদা হয়ে যায়, তার উপাস্য আলাদা হয়ে যায়, তার বলায় এবং লেখায় ব্যবহৃত শব্দাবলী অর্থাৎ ভাষা আলাদা হয়ে যায়, পরিজনদের সাথে তার সম্পর্কের নামগুলো আলাদা হয়ে যায়( মা হয় আম্মা, কাকা হয় চাচা ইত্যাদি), তার সমাজ আলাদা হয়ে যায়, সামাজিক মূল্যবোধ আলাদা হয়ে যায়, পাপপুণ্যের বোধ আলাদা হয়ে যায়, তার শত্রু-মিত্রের বোধ আলাদা হয়ে যায় (কাফের-মোমিন), তার হিরো-ভিলেনের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হয়ে যায়(বখতিয়ার খিলজি, জাফর খাঁ গাজী, শাহজালালের মত বিদেশী আক্রমণকারীরা তার চোখে হিরো আর লক্ষ্মণ সেন, প্রতাপাদিত্য, রাজা গণেশরা ভিলেন)। তার পূর্বপুরুষরা আত্মীয় থেকে শত্রুতে পরিনত হয়, পূর্বপুরুষের উপাস্য তার কাছে ঘৃণ্য হয়ে যায়। এক কথায় তার সামগ্রিক জীবনদর্শন পরিবর্তিত হয়ে যায়।এইভাবে যারা নিজের পূর্বপুরুষের সাংস্কৃতিক শিকড় থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, শুধুমাত্র বাংলাভাষাকে তারা আংশিক ধরে রেখেছে বলেই কি তাদের বাঙ্গালী বলা যায়?
শুধুমাত্র বাংলাভাষাকে তারা আংশিক ধরে রেখেছে বলেই কি তাদের বাঙ্গালী বলা যায়?
